ভাইরাসটি কেন হলো, কীভাবে ছড়ালো, প্রতিরোধ ও উচ্ছেদে ব্যর্থতা কোথায়?

১১ এপ্রিল, ২০২০

এখনো কোনো বৈজ্ঞানিক সর্বজন গৃহীত মত নেই যে, কীভাবে এটি তৈরি হলো।

তবে সাধারণভাবে ধারণা করা হয় যে, বিশ্বের পরিবেশ দূষণ এটি তৈরি হওয়ার একটি বড় কারণ।

আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে, যাকে বলা হয় ‘ষড়যন্ত্র তত্ত¡’, আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বের কারণে একের ক্ষতি করার জন্য অন্যের ষড়যন্ত্রের ফল। এটাও হতে পারে যে, পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ না হলেও একই কারণে ‘জীবাণু অস্ত্র’ তৈরি/পরীক্ষার সময় দুর্ঘটনাবশত তার সংক্রমণ।

করোনার উদ্ভব, তার প্রতিরোধ ও উচ্ছেদে ব্যর্থতার কারণ

১। পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব যে উপায়গুলোতে পরিবেশ দূষণ/ধ্বংস করে চলেছে, মানুষের শারীরিক ও প্রাকৃতিক রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধ্বংস করে চলেছে, জীববৈচিত্রের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে চলেছে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে নস্ট করে চলেছে, সেগুলোর প্রধানতম কয়েকটি হলো

বহুল আলোচিত উষ্ণায়ন; সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির আক্রমণ ও বরফ গলে যাওয়া;

পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা ও পারমাণবিক দুর্ঘটনা;

বন, নদী-জলাশয় ও পাহাড় ধ্বংস করা;

বায়ু দূষণ; শ্বাসতন্ত্রের উপর গুরুতর আক্রমণ;

পানি দূষণ;

অবৈজ্ঞানিক নগর-বিকাশ এবং মানুষের বাসস্থান ও জীবনের স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াকে বিনস্ট করা;

যান্ত্রিক পরিবহন নির্ভরতা এবং টিভি-স্মার্টফোন-ইন্টারনেট-ফেসবুক নির্ভর জীবন;

জীবের প্রজাতি পরিবর্তনে জিন-প্রযুক্তি, হাইব্রিড ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের খাদ্য-অভ্যাস, শারীরিক সক্ষমতা ও জীব-বৈচিত্রের ব্যাপক ধ্বংস সাধন;

কৃষি-পণ্য উৎপাদনে মাটির নিচের পানি, কীটনাশক ও সারের যথেচ্ছ ব্যবহার;

চিকিৎসা ও ঔষধ ব্যবস্থাপনাকে পুঁজিবাদী ও বহুজাতিক সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিকদের হাতে তুলে দেয়া ও সেগুলোকে মুনাফার বিষয়ে পরিণত করা;

ইত্যাদি আরো বহু কিছু।

২। উপরোক্ত বিষয়গুলো সাম্রাজ্যবাদীরা জানে না তা নয়। কিন্তু এর মৌলিক পরিবর্তন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, সেটা তাদের চলমান পুঁজির স্বার্থকে আঘাত করে। যদিও বিশ্বজুড়ে এসব বিষয়ে সচেতনতা গড়ে উঠছে, কিন্তু তার মূলে যে রয়েছে পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী সভ্যতা সে সম্পর্কে বুর্জোয়া ও মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবী ও বিজ্ঞানীদের সচেতনতা শ্রেণি-স্বার্থের কারণেই নেই বললে চলে। তদুপরি যেটুকু সচেতনতা কারও কারও মাঝে রয়েছে তা থেকে তারা এর সমাধান হিসেবে কোনো বিকল্প সমাজ-ব্যবস্থার ধারণা দিতে সক্ষম নয়।

৩। এ্যান্টিবায়োটিকগুলো অকার্যকর হয়ে পড়া, সেগুলো জীবাণু প্রতিরোধী হয়ে ওঠার সাথে নব নব প্রাণঘাতী রোগের আবির্ভাব ও পুনরাবির্ভাব যুক্ত।

উপরোক্ত কারণগুলোতে নব নব ভাইরাসেরও উদ্ভব হচ্ছে।

৪। এসবকে প্রতিরোধ ও নির্মূল করার জন্য যে গণমুখী চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন সেটা পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বে প্রায় অসম্ভব। বরং সবকিছু থেকেই, এমনকি এসব বিপর্যয় থেকেও কীভাবে বেশি মুনাফা লুটে নেয়া যাবে সেটাই তাদের লক্ষ।

আর এ মুনাফা লুটার জন্য আন্তসাম্রাজ্যবাদী কামড়াকামড়ি করা এবং বিশ্ব-জনগণের সম্মিলিত জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও উদ্যোগকে বিভক্ত করা ও নিজেদের প্রতিদ্বন্দিতায় ব্যবহার করাটাই তাদের কর্মসূচি।

আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী প্রতিযোগিতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা, যুদ্ধ-প্রস্তুতি ও যুদ্ধ

১। এ ভাইরাসটির ব্যাপক সংক্রমণ ও তা প্রতিরোধে ব্যর্থতার একটি মূল কারণ হলো আন্তঃসা¤্রাজ্যবাদী প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

আমরা জানি যে, বর্তমান বিশ্বে মার্কিন নেতৃত্বে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীরা ও চীন-রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন নব্য ও উদ্যম প্রাপ্ত সাম্রাজ্যবাদীরা গুরুতর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হয়ে পড়ছে।

চীনের সাথে মার্কিনের বাণিজ্য-যুদ্ধ এই কুকুর-কামড়াকামড়িরই প্রকাশ।

সিরিয়া, ইরান, সৌদি-ইয়েমেন, ইসরাইল-সৌদি জোটের যুদ্ধসহ মধ্যপ্রাচ্যে ও আফ্রিকার দেশগুলোর যুদ্ধগুলোতে এই কামড়াকামড়ি গুরুতরভাবে কাজ করছে।

এ অবস্থায় সাম্রাজ্যবাদীরা নিজেদের যুদ্ধ-ক্ষমতাকে বিপুলভাবে বাড়িয়ে চলেছে। তাদের লেজুড় বড় শক্তিগুলো যেমন, ভারত, ইসরাইল, সৌদি, পাকিস্তান, তুরস্ক এরাও তাদের সামরিক বাজেট বিপুলভাবে বাড়িয়ে চলেছে।

এ অবস্থায় সাম্রাজ্যবাদীদের পক্ষ থেকে জীবাণু-অস্ত্রের গবেষণাও এখন আর গোপন কিছু নয়।

বাস্তবে মার্কিনীরা ইতিমধ্যেই সীমিতভাবে হলেও জীবাণু-অস্ত্র ব্যবহার করেছে তুরস্কের কুর্দিস্থানে, ইরাকে সাদ্দামের মাধ্যমে ইরানের বিরুদ্ধে, আবার ইরাক যুদ্ধে সাদ্দামের বিরুদ্ধে। তারা ভিয়েতনামে নাপাম বোমা রাসায়নিক বোমাও ব্যবহার করেছিল।

কিন্তু এ ব্যবহার সীমিত। এর আসল গবেষণা হচ্ছে আন্ত-সাম্রাজ্যবাদী আরো বড় যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে।

সেই গবেষণায় বিশেষত চীন, আমেরিকা ও রাশিয়া কতটুকু এগিয়েছে তা বিশ্ববাসীর অজানা। কিন্তু এটা যে চলেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বিশেষত, ট্রাম্পের মত ফ্যাসিস্ট শাসকের অধীনে আমেরিকা তার জন্য মরিয়া হতেই পারে, যখন কিনা চীনের কাছে তার বিশ্ব-প্রভুত্ব আগামীতে মার খাওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।

২। এবারের করোনা বিপর্যয় যখন চীনে প্রথম শুরু হয় তখন থেকেই জীবাণু-গবেষণা বা ষড়যন্ত্র তত্ত¡ বাজারে চলছে, যা কেউই বাতিল করছে না।

যেমন, চীনের ঘটনার পর আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে প্রচার করা হয় যে, চীন এ ধরনের গবেষণা করতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে।

আবার একে কাউন্টার করতে গিয়ে চীন থেকেও, যদিও মৃদুস্বরে, বলা হয়েছিল যে এটা তার বিরুদ্ধে আমেরিকার ষড়যন্ত্র হতে পারে, অর্থাৎ আমেরিকাই এটা ঘটিয়ে থাকতে পারে। তখন দেখাও গিয়েছিল যে, চীন ও তার সাথে সুসম্পর্ক যাদের, যেমন, ইরান, বা তার সীমানা ঘেঁষা দেশ, যেমন, দ.কোরিয়ায় করোনার আক্রমণ ঘটেছে।

সে সময়ে ট্রাম্প তড়িৎ গতিতে ভারতের মত দেশের সাথে অস্ত্র-বিক্রি চুক্তি করার জন্য ভারতে সফরও করে।

৩। কিন্তু অচিরেই ইউরোপে ও পরে আমেরিকায় তা হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে।

শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে চীন অন্তত সাময়িকভাবে হলেও ভাইরাসটি প্রতিরোধ ও নির্মূলে অনেকটা সফল হয়।

এটা মার্কিনী দম্ভে গুরুতর আঘাত হেনেছে।

এর থেকে মুক্তির একটা উপায় হিসেবে মার্কিনীরা ষড়যন্ত্র তত্তটিকে নতুনভাবে এনেছে যে, চীনই আমেরিকায় এটা ছড়িয়েছে।

অন্ততপক্ষে চীন না ছড়ালেও জীবাণু অস্ত্র তৈরির গবেষণা থেকে তাদের ল্যাবরেটরি থেকেই এটা ছড়িয়ে পড়েছে দুর্ঘটনা বশত. এটা অনেক পশ্চিমা ভদ্রলোকও বলছেন।

৪। এসব প্রচার থেকে ধারণা করাটা অমূলক নয় যে, ষড়যন্ত্র একটা কিছু থাকতেই পারে, আর সেটা তাদের চরিত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

হতে পারে এটা হয়ে পড়েছে ফ্র্যাংকেনস্টাইনের দানবের মত, যাকে তারা কেউই এখন আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।

প্রতিরোধ ও চিকিৎসার প্রশ্ন

১। বর্তমান বিশ্ব সমাজব্যবস্থা এ ধরনের মহামারীকে কার্যকর ভাবে বা অঙ্কুরেই প্রতিরোধের জন্য মোটেই উপযোগী নয়।

তারা চিকিৎসা ও গবেষণাকে তাদের মুনাফার হাতিয়ার করে ফেলেছে।

আমাদের মত ক্ষুদে-উৎপাদনের কৃষি ও জরুরি ভোগ্য-পণ্য উৎপাদনের দেশে, ব্যাপক বস্তি-ভিত্তিক নগর বাসস্থানের কারণে, সাম্রাজ্যবাদ-নির্ভর শিল্প-অর্থনীতি নির্ভরতার কারণে ক্ষুদে উৎপাদক ও শ্রমিক-শ্রমজীবী, বিশেষত অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী শাসকশ্রেণি ও রাষ্ট্র এখানকার চিকিৎসা-ব্যবস্থা ও রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে গুরুতরভাবে গণবিরোধী করে গড়ে তুলেছে। যা দ্রুতই ভেঙ্গে পড়তে বাধ্য। হয়েছেও তাই।

আমেরিকার মত ব্যক্তি স্বার্থপরায়ণ উন্নত দেশগুলোতেও ভিন্ন রকমে এগুলো ক্রিয়াশীল।

মানুষকে ঘরে থাকতে বললেই তারা তাতে সক্ষম নন। স্বাস্থ্য-সংকটের চেয়ে বড় হয়ে তাদের কাছে আসতে বাধ্য জীবিকা-সংকট। সুতরাং করোনার মত ভয়ংকর সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রশ্ন আসে না।

এমনকি কিউবা, উত্তর কোরিয়া বা চীন এধরনের কল্যাণমূলক বা অতীত কমিউনিস্ট শাসনের সুসংবদ্ধতাসম্পন্ন রাষ্ট্রের ধারাবাহিকতায় যে পুঁজিবাদী দেশগুলো কাজ করছে তাদের সক্ষমতাও আমেরিকার মত পরাশক্তির সক্ষমতার চেয়ে বেশি বলে প্রকাশিত হচ্ছে।

২। উপরন্তু, এটা যে সারা বিশ্বে চিকিৎসা-সংকটকে তুলে ধরেছে তাকে সমাধানের জন্য বিশ্বের বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে সমন্বিত করাটাও এদের পক্ষে অনেকটাই সম্ভব নয় তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও মুনাফা-লোভী প্রতিযোগিতার কারণে।

তারা তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে বাধ্য নিজেদের মুনাফা ও সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব-নিয়ন্ত্রণকে বাড়ানোর জন্য।

৩। তাই, তারা যতই বিশ্বসংস্থার মত সংগঠন গড়ুক না কেন, তাদের পক্ষে যতটা দক্ষতা ও যোগ্যতায় এই বিপর্যয়কে মোকাবেলা করা সম্ভব ছিল সেটা সম্ভব হচ্ছে না।

তবে নিজেদের সমূহ সর্বনাশ এড়ানোর জন্য তারা একে প্রতিরোধ করতে চাইবে। কিন্তু তার আগেই বিশ্ব-মানবের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে ও যাবে।

বিশ্ব অধিকতর বিপর্যয়কারী অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক সংকটের মুখে

১। এই ‘মানবিক’ বিপর্যয় বিশ্বে আগামীতে যে অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক সংকট ডেকে আনবে সেটা আরো ভয়াবহ হয়ে দেখা দেবে বলে এখনই বিশেষজ্ঞরা বলা শুরু করেছেন।

ইতিমধ্যেই আমেরিকায় বেকারত্ব ও সম্ভাব্য মন্দা ২০০৮ সালকে অতিক্রম করেছে। আশুভাবে তারা করোনা নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু একে প্রতিরোধ করার পরই অর্থনৈতিক বিপর্যয় সামনে আসবে, যার কোনো সমাধান তাদের কাছে নেই। শুধু নিজেদের শ্রমজীবী ও দরিদ্র জনগণের ঘাড়ে এবং তৃতীয় বিশ্বের ঘাড়ে এই সংকটকে চাপিয়ে দিতেই তারা আগ্রহী হবে।

২। একইসাথে রাজনৈতিকভাবে জনগণের ক্ষোভ ও আস্থাহীনতার মুখে অধিকতর ফ্যাসিবাদী পদ্ধতির আশ্রয় নিতে তাদের একটা অংশ এগিয়ে যাবে।

একইসাথে সেটা বৈশ্বিকভাবে আন্তসাম্রাজ্যবাদী দ্বদ্বকে আরো রূঢ়ভাবে প্রকাশ ও মোকাবিলা করতে চাইবে।

ফলে বিশ্বে আন্তসাম্রাজ্যবাদী উত্তেজনা বাড়বে।

যাকিনা বিশ্ব-যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে চালিত করে মানবজাতিকে আরো গুরুতর সংকটে ফেলতে পারে।

৩। তবে বুর্জোয়া বিশ্বের অন্য একটি অংশ ব্যবস্থাকে রক্ষা করে তার সংস্কারের প্রশ্নকে তুলে ধরবে।

বিশেষত, ট্রাম্প-মোদির মত গণবিরোধী শাসকদের পরিবর্তনের প্রশ্ন, পরিবেশ রক্ষার প্রশ্ন, নিরস্ত্রীকরণ বিশেষত পারমাণবিক অস্ত্র ও পরীক্ষা এবং স্থাপনাকে বন্ধ করা, বিশ্ব স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন প্রভৃতি বিষয়গুলো জোরালোভাবে উঠে আসবে।

কিন্তু সেটা আগের মত খুব একটা কাজ করবে বলে মনে হয়না। বিশ্ব-ব্যবস্থাকে সংস্কারের পথে আর খুব বেশি এগিয়ে নেয়া সম্ভবপর নয়।

সমাধান কী?

বর্তমান বিশ্ব-ব্যবস্থা করোনার মত বিপর্যয় সৃষ্টি ও প্রতিরোধে ব্যর্থতার একটি বড় কারণ এটাই সত্য। এটা অনিবার্য বা নিছক প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় নয়।

সুতরাং বিশ্ব-সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ব্যতীত এ ধরনের সংকট থেকে মানবজাতি মুক্ত হতে পারবে না।

মানবজাতির শুভ-বুদ্ধি সম্পন্ন অংশ, শ্রমিক শ্রেণি ও নিপীড়িত জনগণ সেটা করতে পারেন শুধু সমাজতন্ত্রের পথ ধরে। এছাড়া মানবজাতির এধরনের বিপর্যয় আগামীতে আরো আরো আসতেই থাকবে।

কেন্দ্রীয় কমিটি
পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি