দেশীয় পরিস্থিতি সম্পর্কে/২

গত ৩১ মে তৎপূর্ব ‘ঘরে থাকা থেরাপি’ হঠাৎ করে বদলে ফেলে হাসিনা ‘জীবিকা রক্ষা থেরাপি’ চালু করেছে। বলাই বাহুল্য, এর আগে আগে ভারত ‘জীবিকা থেরাপি’র ঘোষণা দিয়েছিল। হঠাৎ করে ‘হাসিনা থেরাপি’র এই বদলের পিছনে সে গরীব জনগণের জীবিকার বিষয়টিকে ব্যবহার করেছে। ‘গরীব মানুষকে তো আর না খাইয়ে মেরে ফেলতে পারিনা’ প্রধানমন্ত্রীর জনহিতকর উক্তি। ন্যায্য কথা! তবে এক মাসের বেশি না খাইয়ে কষ্ট না দিয়ে এবং এখনো তাদেরকে ও সারা দেশের মানুষকে ঝুঁকিতে না ফেলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মাফিক তিন থেকে ছয় মাস ৪ কোটি মানুষকে বিনাপয়সায় খাদ্য ও অর্থ দিলেই তো তারা আর না খেয়ে মরতো না! এত উন্নয়নের পর তো সেটা দেশবাসী আশা করতেই পারেন! সেই সহজ বুদ্ধিটা তার মাথায় এলো না কেন?
এটা একটা শয়তানি কৌশল ছাড়া কিছু নয়। আমরা আগেই দেখিয়েছি যে তারা ‘ছুটি’ ঘোষণা করে না পেরেছে কার্যকর লকডাইন করতে, না পেরেছে জনগণের জীবিকা ও জীবনকে সমন্বয় করতে। তারা দেশের বাস্তব অবস্থাকে একটুও ধারণ করতে পারেনি তাদের পদক্ষেপে। ফলে তারা তাতে ব্যর্থ হতে বাধ্য ছিল।
এ পদক্ষেপের বিরেধিতা এমনকি আওয়ামীপন্থী চিকিৎসকদের পক্ষ থেকেও হয়েছে। কিন্তু পদলেহী নেতারা ও খোদ শেখ হাসিনা যুক্তি দিয়েছে যে, অন্য অনেক দেশও এটা করতে বাধ্য হচ্ছে।
এটাও একটা মিথ্যা কথা। ইতালি, ফ্রান্সের মত দেশগুলো লকডাউন শিথিল তখনই করেছে যখন কিনা আক্রান্তের হার নিম্ন দিকে হয়েছে। আর বাংলাদেশে ঘটেছে তার বিপরীত। যখন সেটা বেড়ে চলেছে আশংকাজনক হারে তখনই এটা তুলে নেয়া হয়েছে। এটা করা হয়েছে জনস্বাস্থ্য বা জীবিকার কোনো চিন্তা না করে, বরং নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য, নিজেদের ক্ষমতা রক্ষার স্বার্থে এবং বুর্জোয়া মালিক-ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষার জন্য।
এই পদক্ষেপের কারণে আক্রান্ত যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন আরো দ্রুত আক্রান্ত বেড়ে চলেছে। তবুও তথ্যমন্ত্রী ও সেতুমন্ত্রীর মত দু’একজন গীত গেয়েই চলেছে যে, অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ খুব ভাল রয়েছে, ভালো করছে!

* এই পরিস্থিতিতে ‘ছুটি’ তুলে দিয়ে সরকার গণপরিবহনও চালু করেছে, যার প্রধান মালিকানা আওয়ামী নেতাদেরই হাতে। এক্ষেত্রেও পরিবহন-শ্রমিকদের জীবিকার অজুহাত দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু পরিবহন-শ্রমিকদের নিকট থেকে তোলা শত শত কোটি টাকা গেল কোথায়? কোনো টাকাই তো তাদের সহযোগিতায় খরচ করা হয়নি। তার হিসেবও নেয়া হয়নি। এই সড়ক চাঁদাবাজদের (আওয়ামীলীগ ও পুলিশ) গ্রেফতার ও সাজা দেয়া হয়নি। বরং পরিবহন মালিকদের সুবিধার্থে তাদের চাপে ভাড়া ৬০% বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে যা অবশ্য বহু জায়গায় দ্বিগুণ বা তারো বেশি পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। অথচ যে সরকার ও নেতারা বিদেশি উদাহরণ দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতাকে জায়েজ করতে চায় তারা এক্ষেত্রে একবারটিও বিদেশি উদাহরণ দিচ্ছেনা। পৃথিবীর কোনো দেশ এখনো পর্যন্ত গণপরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি করেনি। এমনকি পাশের দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গও নয়।
বহু অর্থনীতিবিদ নির্দিষ্ট হিসেব দেখিয়ে প্রস্তাব করেছিলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক ও দরিদ্র মানুষের ২ কোটি থেকে ৪ কোটি মানুষকে সহজেই সরকারের পক্ষে ৩ থেকে ৬ মাস খাওয়ানো যেত এবং কঠোর লকডাউনও পালন করা যেত।
‘উন্নয়নে’র এত টাকা গেল কোথায়? কানাডার বেগমপাড়ায়? মালয়েশিয়া, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, কুয়েত, ভারত, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এসব দেশে?

* সরকার ’কম পরীক্ষা, কম আক্রান্ত, কম মৃত্যু’র গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট কৌশল নিয়েছে। বহু বিশেষজ্ঞ’র পরামর্শ উপেক্ষা করে তারা ‘র‌্যাপিড কিট’ ব্যবহারে বিরত রয়েছে। অথচ সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায় এবং মাত্র আধা-ঘন্টায় এতে বিরাট সংখ্যক আক্রান্তকে শনাক্ত করা সম্ভব ছিল। এর পেছনে বিদেশি কিট আমদানি এবং বিদেশি পুঁজি ও দালাল ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার অপচেষ্টাও নিশ্চিতই রয়েছে।
বহু বিভিন্ন চাপে যখন পরীক্ষা বাড়ানো হলো তখন দেখা যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন এটা এখনো ‘পিক’-এ ওঠেনি, এবং অন্তত মধ্য-জুলাই পর্যন্ত এটা বেড়ে চলবে।
এবং যখন ধরা পড়ে যাচ্ছে যে, বেশি পরীক্ষা মানে বেশি আক্রান্ত ধরা পড়া, তাতে হাসিনার বিশ্বনেত্রী ভাবমূর্তি নস্ট হবার পথে, তখন আবার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঠুনকো অজুহাত দেখিয়ে পরীক্ষার ফি ধার্য করা হয়েছে ২০০ ও ৫০০ টাকা। এতে বহু মানুষ আর পরীক্ষা করার জন্য তাদেরকে বিরক্ত করবে না। আক্রান্ত কম হবে, হাসিনার নাম ফাটবে।
সরকার আসলে হার্ড ইমিউনিটির আশায় কাজ করছে, যা করেছে তার আন্তর্জাতিক গুরু মোদি(ভারত), ও ট্রাম্প(আমেরিকা)। এবং যাতে একইভাবে হাত মিলিয়েছে ইমরান খান(পাকিস্তান), বলসেনারো(ব্রাজিল) প্রমুখ। এর কুফল এক মাস না যেতেই এ সবগুলো দেশেই দেখা গেছে। অবশ্য এতে সাম্রাজ্যবাদীদের কীট বিক্রি, পিপিই বিক্রি, পরবর্তীতে ভ্যাকসিন ও ঔষধ বিক্রির জমজমাট ব্যবসা খুলবে যাতে হাসিনার মত মৌ-লোভীরাও ভাগ পাবে আশা করছে।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদীদের মধ্যকার বাণিজ্য-যুদ্ধের বলি করা হচ্ছে হাসিনা সরকারের যোগসাজশে সেটাও দৃশ্যমান হয়ে গেছে। এর আগে মার্কিন-ভারতের স্বার্থে ম্যালেরিয়ার ঔষধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন গেলানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি চীন আগেই ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে আসবে বুঝতে পেরে ভ্যাকসিন প্রয়োজন নেই বলেও ট্রাম্প ফতোয়া দিয়েছিল। অন্যদিকে ভারত আগে ভাগেই ঔষধ উৎপাদন শুরু করেছে, যার একটি বড় বাজার নিজ দেশ ছাড়াও বাংলাদেশ যে হবে তাতে সন্দেহ নেই।
অন্যদিকে চীন খুবই তড়িঘড়ি স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞদের নিয়ে খুবই ক্ষমতাশালী টিম পাঠিয়েছে। শাসকশ্রেণির কেউ কেউ প্রকাশ্যে চীনের ‘সহযোগিতা’ নেয়ার নসিহত করছে। চীনা বিশেষজ্ঞরা নিজেদের কিট বিক্রির সুবিধার্থে ‘র‌্যাপিড কিট’ ব্যবহারের বিরোধিতা করে বক্তব্য দিয়েছে, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ দেশীয় বিশেষজ্ঞরা বর্তমান অবস্থায় সেটা ব্যবহারের কথাই বলছেন। সরকার এসব অপস্বার্থেই যে গণস্বাস্থ্যের কিটকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করেছে তাতে সন্দেহ নেই। শুধু গণস্বাস্থ্য নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত অন্য ধরনের কিট বা দেশজ অন্যান্য গবেষণাকে সম্পূর্ণভাবে অনুৎসাহিত করা হচ্ছে। এসবের একটাই উদ্দেশ্য তাহলো, বিদেশি (সেটা হতে পারে চীনা বা ভারতীয় বা অন্য কোনো দেশ) করোনা-পণ্যের বাজার রক্ষা করা এবং তাদের সাথে বাণিজ্যের মাধ্যমে দেশীয় দালাল কিছু আমদানিকারক আওয়ামী ব্যবসায়ীদের পকেট ভারি করা।
করোনা বাণিজ্যে দেশের জনগণের পকেট কাটার পাশাপাশি অপরীক্ষিত ভ্যাকসিন ও ঔষধ পরীক্ষার গিনিপিগ বানানোর ষড়যন্ত্রও চলছে এই গণবিরোধী সরকারের যোগসাজশে।

* সবাই বলছে, স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে পড়েছে। প্রতিদিনের পত্রিকা খুললেই যেকারো কাছে বিষয়টি প্রতীয়মান হবে। করোনা দূরের কথা, সাধারণ অসুখ-বিসুখে মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না। হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরে রাস্তাতেই কেউ মারা যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোর কেউ কেউ বর্ধিত ব্যবসা করছে মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগে, কেউ কেউ করোনার ভয়ে রোগী ভর্তি করতে সাহস পাচ্ছেনা। চিকিৎসা-কর্মীরা ব্যাপকভাবে আক্রান্ত। তাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নেই। তাদের পৃথক থাকার ব্যবস্থা নেই (ছিলই না, এখন কিছুটা হয়েছে। তবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি কলার দাম এক হাজার টাকা রাখা হচ্ছে বলেও সংসদে আলোচনা হচ্ছে)। কোনো গাইড নেই। প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই, ভেন্টিলেটর নেই, আইসিইউ নেই। পরীক্ষা এখনো মূলত ঢাকা ও কিছু বড় নগরে সীমাবদ্ধ। সরকারি মহলেরই কেউ বলছে কিট আছে, কিন্তু ভেন্টিলেটার নেই; কেউবা বলছে পর্যাপ্ত কিটই নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছে, করোনার জন্য সরকারের নির্ধারিত বেড ও ভেন্টিলেটর বেশির ভাগই নাকি রোগীর অভাবে খালি পড়ে রয়েছে, কোনো সংকট নেই!
অথচ পরীক্ষার জন্য স্বয়ং রোগীরা ঘন্টার পর ঘন্টার রোদ-বৃষ্টির মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। অনেকে দিনের পর দিন ঘুরছেন। পরীক্ষা হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৮/১০ দিনেও রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছেনা। প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ানের অভাব। কী করেছে গত ৫০ বছরে ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’-এর শাসকশ্রেণি? কী করেছে আওয়ামী-হাসিনা বিগত ১২ বছরের ধারাবাহিক শাসনামলে?
প্রচার হচ্ছে যে, কোনো কোনো হাসপাতালে দু/চারটা যাও-বা আইসিইউ রয়েছে সেগুলো বর্ধিত টাকা দিয়ে ১ মাস/২ মাসের জন্য আগাম ভাড়া করে রেখেছে প্রভাবশালী ও অর্থশালীরা। সিএমএইচ-কে আওয়ামী অপরাধী শ্রেণির বা প্রধানমন্ত্রীর প্রিয়ভাজন কারও কারও জন্য রিজার্ভ করে রেখেছে শেখ হাসিনা। কিন্তু এমনকি ডাক্তারদের জন্য সে হাসপাতালটিকে রিজার্ভ করা হয়নি। সেখানে চিকিৎসা নিতে পারার নীতিটা কী? নাকি শেখ হাসিনার ইচ্ছা হলে যেকাউকে ভর্তি করা যাবে, নতুবা নয়? উল্টাপাল্টা ঔষধ, অক্সিজেন সিলিন্ডারÑ এসব মানুষজন নিজেরা কিনে ঘর ভর্তি করছে, খাচ্ছে, বা মজুদ করছে ভবিষ্যতের জন্য। কী বিপদজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে এই সরকার! স্বাস্থ্যব্যবস্থার উপর নিম্নতম আস্থা থাকলে মানুষ এই বিপদজনক পথে কখনো যেত না।

* তবে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকায়, তাদের এ পদক্ষেপের বিরাট সমালোচনার মুখে, শাসকশ্রেণির একেবারে উচ্চ লেবেলে ভাইরাস হানা দেয়াতে এবং কিছু ব্যক্তির মৃত্যুর পর লকডাইনের নতুন তামাশা শুরু করেছে। তারা ‘ছুটি’র বদলে ‘সত্যিকার লকডাইনে’র নতুন খেলা শুরু করেছে।
লাল, গোলাপী ও সবুজ তিন জোনের কথা বলে, রেড জোন ঘোষণা করেও তারা ধীরে-সুস্থে লকডাউন করছে, যাতে খুব সুচিন্তিতভাবে বেশি আক্রান্ত মহানগরীগুলোতে ‘আস্তে-ধীরে’র পদ্ধতি অনুসৃত হচ্ছে। এটা যে বড় ব্যবসায়ী, গার্মেন্ট ও পরিবহন মালিকদের স্বার্থে ও পরামর্শেই হচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
প্রথমে সারা দেশে বহু জায়গায় লকডাউনের ঘোষণা এলো, তারপর দেখা গেল শুধু ঢাকা শহরের একটি মাত্র এলাকায় লকডাউন দেয়া হলো, সেটাও নাকি পরীক্ষামূলক। বোঝো ঠ্যালা। করোনা মহামারীর ছয়মাস পেরিয়ে যাচ্ছে, আর উনি এখন ‘পরীক্ষামূলক’ লকডাউন করছেন একটি ছোট এলাকায়!
এই তথাকথিত লকডাউন দেশব্যাপী পরিস্থিতিকে যে উন্নত করতে ব্যর্থ হবে সেটা বলাই বাহুল্য। একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা লকডাউন করে, আর সব খোলা রেখে সরকার-হাসিনা কী অর্জন করতে চায়? নাকি পূর্বের ‘ছুটি’-মার্কা লকডাউনের ব্যর্থতা ঢাকার এটা একটা চাল? দেখাই তো যাচ্ছে যে, বহু এলাকার প্রভাবশালীরা এরকম লকডাউন করতে চাচ্ছেনা। সরকারি মহলে এ বিষয়ে যে গুরুতর দ্বন্দ্ব চলছে তা দেখাই যাচ্ছে। কীসের আলামত এগুলো?
বর্তমানে যেখানে দেশের সর্বত্র কোভিড ছড়িয়ে গেছে তখন দীর্ঘদিন ভাইরাসটিকে সুযোগ দিয়ে ধীর গতিতে শুধু রেড জোনকে লকডাউন করলে তেমন কোনো উপকার হবে বলে মনে হয়না। অনেক বিশেষজ্ঞই এটা বলছেন। কারণ, একটি জায়গায় একটিমাত্র ব্যক্তি যদি আক্রান্ত থাকে তাহলে তার উপসর্গ থাকুক বা না থাকুক, সেটা অন্যত্র ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো সম্ভব নয়। আলোচিত রাজাবাজার এলাকা থেকেই বহু লোক আগেই সরে পড়েছেন; আবার তারা ফিরে আসবেন অন্য এলাকার ভাইরাস নিয়ে। মধ্যে থেকে দরিদ্র তো বটেই, ব্যাপক মধ্যবিত্তসহ ব্যাপক মানুষ নতুন ভোগান্তিতে পড়ছেন এবং সরকার প্রচার দিতে পারছে যে, আমরা তো ব্যবস্থা নিচ্ছিই; সারা বিশ্বই পারছেনা, আমরা কী করবো?

* এমন একটি ‘জাতীয় দুর্যোগে’ও আওয়ামী নেতা, মাস্তান, আমলা, ব্যবসায়ীদের দুর্নীতি চলছেই।
ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির ছোট খাত ছাড়িয়ে এখন দুর্নীতি চলে গেছে উচ্চপর্যায়ে স্বাস্থ্যসামগ্রীতে। বিশ্বব্যাংকের ১,৩০০ কোটি টাকার প্রকল্পে দুর্নীতি ও আরো কয়েক হাজার কোটি টাকার মাস্ক দুর্নীতির দায়ে স্বাস্থ্যসচিবকে সরিয়ে ফেলা হলো, তা গোপন করা হলো, আর এক সপ্তাহের মধ্যে তার প্রমোশন হলো। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিকে ‘মিনাকার্টুনে’র মিঠু-কাণ্ড বলে পর্যন্ত অভিহিত করা হয়েছে।
এমনকি করোনা সার্টিফিকেট পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। বিশ্বের সবগুলো দেশই সাম্রাজ্যবাদী-পুঁজিবাদী দুর্নীতিগ্রস্থ। কিন্তু করোনা সার্টিফিকেট বিক্রির রেকর্ডটি কোন দেশটি করতে পেরেছে? করোনা প্রকল্পের বিশ্বব্যাংক-অর্থ কোন দেশের সচিবটি মেরে দিয়েছে?
এদের সবার কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় বাড়ির খবর মিডিয়ায় এসেছে। এরা যে সবাই আওয়ামী ও হাসিনা আশীর্বাদপুষ্ট সেটা প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না। বর্বর মানব পাচারের দায়ে এবং হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের দায়ে কুয়েতে গ্রেফতার পাপুল ‘সবাইকে’ টাকা দিয়ে এমপি হয়েছে, এমনকি তার স্ত্রীও সংরক্ষিত আসনে মহিলা-এমপি, যাদের নিয়োগ শুধুমাত্র শেখ হাসিনাই করে থাকে।
ইতিমধ্যে যেই মাত্র পশ্চিমা দেশগুলোতে সংক্রমণ কমে আসছে এবং তারা লকডাউন শিথিল করতে শুরু করেছে তখনই আওয়ামী ও শাসকশ্রেণির কেউ কেউ দেশ ছাড়তে শুরু করেছে। নামকরা পলাতক হলো আওয়ামী যুগ্ম সম্পাদক হানিফ। আরো অনেকেই গোপনে, মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে ভাগছেÑ যার সম্ভাবনার কথা আমরা বলেছিলাম মহামারীর প্রথম দিকেই।

* এসবের বিষয়ে প্রচলিত বুর্জোয়া মিডিয়াগুলোর বদলে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার হওয়াতে এবার হাসিনা সরকার ‘ডিজিটাল’ আইনকে সক্রিয় করেছে। বহু স্ট্যাটাস-প্রদানকারীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে গুজব রটানোর দায়ে। অথচ সবচেয়ে বড় গুজব রটনাকারী যে সরকার, শেখ হাসিনা ও তার নেতারা সেটা কি গোপন করা সম্ভব? তারাই তো মিথ্যা প্রচার দিচ্ছে যে, অন্য সব দেশ থেকে তারা নাকি ভাল কাজ করছে। তারা ভাল প্রস্তুতি নিয়েছিল বলেই নাকি করোনা তেমনভাবে আক্রমণ করেনি! সেগুলো সরকারি খরচে মিথ্যা ও গুজব রটানো নয়? ভিয়েতনাম, শ্রীলংকা, নেপাল, ভূটানে কতজন মারা গেছে, কতজন আক্রান্ত হয়েছে? হাসিনা কি তাদের চেয়েও এতই ভাল করলো? ওকার পর এখন হামা উদাহরণ দেয় আমেরিকা ও ইউরোপের। সেগুলোও খারাপ, গণবিরোধী, তাদের প্রশংসার কিছু নেই। কিন্তু তারা সেসব দেশের পরীক্ষা, লকডাউন কার্যকর, লকডাউনে মানুষের খাদ্য ও অন্যান্য দ্রব্যাদি সরবরাহ, গণচিকিৎসা ইত্যাদির সাথে তুলনা কেন করছে না?

* আওয়ামী লীগের ডিজিটাল বাংলাদেশের গলাবাজি শুনতে শুনতে যখন দেশের মানুষের কান ঝালাপালা হয়ে গেছে, তখন দেশের প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী ঘরে বসে রয়েছে প্রায় ৪ মাস ধরে। তাদের শিক্ষার কোনো ব্যবস্থাই নেই। এই শিশু ও তরুণদেরকে পাগল বানানো বা উচ্ছন্নে যাবার ব্যবস্থা করে ফেলেছে এই সরকার মাত্র ৪ মাসেই। অথচ ঘরে ঘরে টিভিতে চলছে ভারতীয় গণবিরোধী ও দেশবিরোধী তথাকথিত পারিবারিক সিরিয়াল। বর্বর মারামারির চ্যানেল। উদ্ভট মোটু-পাতলু জাতীয় চ্যানেল। টিভিগুলো ২৪ ঘন্টা এসবই খাওয়াচ্ছে তরুণ ও শিশুদেরকে। বাধ্যতামূলক ডিজিটাল লেখাপড়ার কোনো উদ্যোগই তারা নেয়নি। যা অতি সহজেই সম্ভব ছিল।
দেশের প্রায় ১০ লক্ষ শিক্ষককে বসিয়ে রাখা হয়েছে। কোনো দেশগত কাজে তাদের লাগানো হচ্ছে না। কোটির মত তরুণরা কোনো শক্তিতে পরিণত হচ্ছে না। তারাও বসে রয়েছে, স্পার্টফোনে বিলগেটস আর জুকারবার্গের পকেটে টাকা ঢুকাচ্ছে, আর নিজেরা বখে যাবার উপক্রম করছে।

* নারীদের উপর নিপীড়ন ও আক্রমণ যে বহুগুণ বেড়ে গেছে তাকি গোপন রয়েছে? গার্মেন্ট শ্রমিকদের বৃহদাংশ নারী। তাদের অনেকেই বেকার হতে চলেছেন। গৃহকর্মীদের বড় অংশ বেকার হয়ে গেছেন। যৌন-ব্যবসা হাসিনা দেশে রেখেছে, অথচ এই সংকটে সরকার তাদের জন্য কোনো কিছুই করছে না।
ঘরে ঘরে পারিবারিক সমস্যা বাড়ছে, যার কোনো সমাধান এই ব্যবস্থায় নেই।

* ঈদকে সামনে রেখে প্রচণ্ড ঝুঁকি সত্ত্বেও পশুর হাটকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে বহু বিশেষজ্ঞদের হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে। এটা-যে নিছক আওয়ামী ইজারাদারদের পকেট ভারী করার জন্য সেটা বলাই বাহুল্য।
নইলে এতযে ডিজিটাল, তাতে খুব সহজেই অনলাইনে বেচাকেনা করা সম্ভব। ধর্মবাদী মানুষকে এই সংকটে ও স্বাস্থ্যসমস্যার মুখে পশু কোরবানি দেয়ার ক্ষেত্রে অনুৎসাহিত করা যেত। পশু-পালনকারী গ্রামীণ ব্যবসায়ী ও কৃষকদের যাতে কোনো ক্ষতির মুখে পড়তে না হয় সেজন্য ক্রমান্বয়ে সরকারি ব্যবস্থাধীনে তাদের পশু কেনা ও বিক্রির ব্যবস্থা করা যেত।
বড় শপিং মলগুলোর মালিক ও আওয়ামী গডফাদার-পুলিশ চাঁদাবাজদের স্বার্থে সেগুলোকে সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে তারা এগিয়ে চলেছে বাধাহীনভাবে।

* ইতিমধ্যে ধর্মবাদীরা তাদের বিজ্ঞানবিরোধী প্রচার অব্যাহত রেখেছে বাধাহীনভাবে।
তেতুল হুজুর শফি মওলানার সাঙ্গপাঙ্গরা মাদ্রাসাগুলো খুলে দেবার চাপ দিয়েছে। ধর্মবাদীরা প্রচার চালাচ্ছে, আল্লাহই করোনা দিয়েছে আল্লাই ভাল করবে। তাহলে আর ডাক্তার চিকিৎসা হাসপাতালের প্রয়োজন কী? শফি মওলানাকে বাঁচানোর জন্য বার বার হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে কেন? মসজিদে বসে দোয়া দরুদেই তো চলতো। এদের চাপে মসজিদগুলোও সরকার অল্প পরেই খুলে দিয়েছে। জনগণের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে এই অপবিশ্বাস যে, পাপে ভরে গেছে বিশ্ব, আল্লার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, তিনি ক্ষমা করলে তিনিই করোনা উঠিয়ে নেবেন। কিন্তু মূল পাপী যে আওয়ামী হাসিনা এবং তাদেরকে যে নিজেরা উচ্ছেদ না করলে আল্লা উচ্ছেদ করে দেবেন না, সেটা এই ‘পাপী’রা একবারও বলছেনা।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ওলেমা লীগের একাংশ প্রকাশ্যে সভা করে ঘোষণা দিয়েছে যে, করোনাকে মহামারী বলা কুফরী, একদিনে ২০ হাজার লোক না মরলে তাকে মহামারী বলা যায় না।
এসব বিজ্ঞানবিরোধী প্রচারকে অব্যাহত চলতে দেয়া হচ্ছে, এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। অথচ দর্শন ও সঙ্গীতের একটি জনপ্রিয় ধারার প্রচারক বয়াতিদেরকে গ্রেফতার করে জেলে পোরা হয়েছে। প্রকৃতি ও বিজ্ঞানের প্রচারক ধর্মবাদ-বিরোধী ব্লগারদেরকে জেলে পোরা হয়েছে।
এরই পাশাপাশি হাসিনা ও তার লেজুড় কয়েকটি অপগন্ড বলে চলেছে, করোনাকে সাথে নিয়েই থাকতে হবে। এটা একটা সারেন্ডার মার্কা বক্তব্য। এটা উপরোক্ত ধর্মবাদী অপচিন্তার মতই আরেক ধরনের বিজ্ঞানবিরোধী বক্তব্য। তাহলে স্বয়ং শেখ হাসিনা কেন ১০০ বিঘা জমির বাড়িতে লকডাউন হয়ে রয়েছে? সে-তো অন্তত মধ্যবিত্তের মত একটি ফ্ল্যাটে উঠতে পারে, দুর্গত জনগণকে দেখতে বন্যাকবলিত এলাকা বা সদরঘাট বা লকডাউনের রেড জোন সফর করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী তো সবকিছুকেই মনিটরিং করেন আর তিনিই নির্দেশ দেন বলে প্রচার হয়। শুধু বলা হয়না যে, ওলেমা লীগের প্রচারটাও তার নির্দেশেই হলো কিনা। অথবা তার নিয়োজিত এমপি পাপুল হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে তারই মনিটরিং-এ কিনা।

* এত সংকটেও ভারতের দালালিতে কোনো কমতি নেই হাসিনা সরকারের।
গত বছর পিঁয়াজ নিয়ে এত কাণ্ডের পর বাণিজ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলেছিল, ভারত যে শিক্ষা দিয়েছে, তার কাছ থেকে আর পিঁয়াজ আমদানি নয়। আর এখন তার মুখের থুথু না শুকাতেই গোপনে কাউকে কিছু প্রচার না দিয়ে করোনার মচ্ছবে ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। কৃষকদের সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করে।
ভারতের সাথে অনেক দিন করোনা-বন্ধ থাকার পর বাণিজ্য যখন খুলে দেয়া হলো সীমান্ত (৭ জুন), তখন দেখা গেল বাংলাদেশে ঠিকই ভারতের পণ্য আসছে, কিন্তু করোনার অজুহাতে ভারত বাংলাদেশের পণ্য সীমান্তে দিনের পর দিন আটকে রাখছে। তাতে বহু মূল্য পণ্য ট্রাকেই পচে যাবার উপক্রম হয়েছে।
এগুলো-তো শেখ হাসিনার নির্দেশে ও মনিটরিং-য়েই হচ্ছে; নাকি?

* করোনাকালে ভাড়াটিয়াদের সংকটের বিষয়ে জনদরদী হাসিনা একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। অথচ ঢাকা শহরের ৮০% মানুষ ভাড়াবাড়ি বা মেসে থাকেন।
ছাত্রদের মেসগুলোতে তাদের মালামাল ফেলে দেয়া হচ্ছে। ২/৩ মাস বাকি পড়তেই তাদেরকে বাসাভাড়ার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছাত্র ও ভাড়াটিয়ারা তাদের মূল্যবান সম্পদ ও দলিলাদি হারিয়েছেন।
বাড়িওয়ালারা কিছু অংশ ভাড়ার টাকা দিয়ে চললেও ব্যতিক্রম বাদে তারা সবাই স্বচ্ছল বা উচ্চবিত্ত। আর অধিকাংশের অন্য আয় রয়েছে। এদেরকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকার কিছুই করেনি। কারণ, এরা প্রধানত সরকারি দলের চাঁদাপ্রদানকারী এবং কেউ কেউ নেতা ও গডফাদার।
এই বাড়ীওয়ালাদেরকে ভাড়ার ক্ষেত্রে মাফ করা বা কম নেয়া বা বাকি রাখা বা সরকারি ঋণ দেয়া কোনো ব্যবস্থাই সরকার-আওয়ামী লীগ করেনি।

* নিজ দেশেই যখন করোনার এই ভোগান্তি তখন বিশ্বনেত্রী-ফুটানি দেখানোর জন্য বিদেশে চিকিৎসা-সামগ্রীর সাহায্যও পাঠানো হয়েছে। গরীবের ঘোড়া রোগ কাকে বলে?
তারা করোনাকালের বাজেটে জনগণকে করোনা থেকে বাঁচানোর কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।
তারা পাটশিল্প শ্রমিকদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাদের শিল্পকে বন্ধ করে দিয়েছে।

* সবকিছুই প্রমাণ করেছে, এই শাসকশ্রেণি, বিশেষত আওয়ামী সরকার ও তার প্রধান ও একচ্ছত্র নেতা শেখ হাসিনা চরমভাবে গণবিরোধী, দেশবিরোধী, ব্যর্থ। এদেরকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করে একটি গণমুখী স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রবর্তন এবং একটি দেশমুখী ও গণমুখী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ব্যতীত জনগণের কোনো রকম শান্তি হবেনা, স্বস্তি হবে না, মুক্তি হবেনা। আজ করোনা, কাল আরেকটি এভাবে জনগণের দুর্ভোগ চলতেই থাকবে। আর সব ধরনের দুর্ভোগ থেকেই এই ক্ষমতাসীনরা অবৈধ অর্থ বানাবে, তা বিদেশে পাঠাবে এবং জনগণকে দমিয়ে রাখার জন্য ফ্যাসিস্ট নির্যাতন করবে।

* এই করোনাকালে জনগণের আশু ও জরুরি সমস্যার উপরও জনগণকে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কারণ, আন্দোলন ছাড়া এদেশে এক কেজি লবণও পাওয়া যাবে না। তাই, আমরা নিচে কিছু জরুরি দাবি তুলে ধরছি
১। করোনা পরীক্ষার সকল ফি ও চিকিৎসা বিনামূল্যে করতে হবে।
২। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী র‌্যাপিড কিট চালু করতে হবে।
৩। পাটশিল্পকে বন্ধ করা চলবেনা।
৪। গার্মেন্ট বা অন্য শিল্প থেকে শ্রমিক ছাঁটাই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে।
৫। বাজেটের অন্তত ২০% স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করতে হবে।
৬। বাসভাড়া-বৃদ্ধি প্রত্যাহার করতে হবে।
৭। পরবহনে ইজারা-প্রথা তুলে দিতে হবে। সকল শ্রমিকদের মাসিক-বেতন ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে।
৮। বাসা/মেস ভাড়া ৩ মাসের জন্য মাফ করতে হবে, পরবর্তী মাসগুলোতে অর্ধেক ভাড়া নিতে হবে যদি ভাড়াটিয়ারা দেশে থাকেন, ভাড়াটিয়া খেদানো বাড়িওয়ালা/মেসমালিকদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৯। ভারতের থেকে পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ করতে হবে।
১০। ভারত পণ্য না নিলে ভারত থেকেও পণ্য আনা বন্ধ রাখতে হবে।
১১। কোরবানির পশুর চামড়া ন্যায্যমূল্যে কেনার সরকারি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সকল সনাতন পশুর হাট বন্ধ করতে হবে।
১২। সমস্ত শিক্ষাকে ডিজিটালি চালু করতে হবে এবং স্মার্টফোনের বদলে টিভি-তে সেগুলো প্রচার করতে হবে।
১৩। গৃহকর্মীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে তাদেরকে জরুরি ত্রাণ ও কাজের আওতায় আনতে হবে।
১৪। পতিতাদের আপাতত বেঁচে থাকার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
১৫। অবিলম্বে ‘ডিজিটাল আইন’ তুলে নিতে হবে।
১৬। সকল ব্যয়সাধ্য বিনোদন, মার্কেট, বিদেশি পণ্য ও ধর্মীয় প্রথা বন্ধ রাখতে হবে।
১৭। কৃষিকে অর্থনীতির ভিত্তি কর। কৃষি-ভিত্তিক শিল্প গড়ে তোল। বিদেশ-নির্ভর শিল্প-নীতি বর্জন কর।
ইত্যাদি।

কেন্দ্রীয় কমিটি, পিবিএসপি