সাম্প্রতিক কিছু আওয়ামী কর্মসূচি সম্পর্কে

আওয়ামী-হাসিনা সরকারের প্রথম বড় আক্রমণ

পাটকল শ্রমিকদের বিরুদ্ধে
সরকারি ২৬টি পাটকল বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। স্থায়ী ২৫ হাজার শ্রমিক চাকরি হারাবেন। অস্থায়ী ও বদলি শ্রমিক আরো অন্তত ৩০ হাজার শ্রমিককে গণাই হচ্ছেনা। আদমজী যখন বিএনপি সরকার বন্ধ করে দিল তখন আওয়ামী-হাসিনা বহু শ্রমিকদরদী কান্নাকাটি করেছে। এমনকি কিছুদিন আগে পর্যন্ত বিএনপি’র সাথে তুলনা করে নিজেদেরকে শিল্প-বান্ধব ও শ্রমিক-বান্ধব বলে হাসিনা নিজে ভাষণ দিয়েছে। হাসিনা নিজে বলেছে যে, বিএনপি পাটশিল্পকে ধ্বংস করেছিল, আর তারা তাকে জীবিত করেছে। অথচ আজ বিএনপি’র মত একই যুক্তিতে তারা এই ৫০ হাজার ও তার সাথে বিভিন্ন পেশায় জড়িত আরো অন্তত ২/৩ লক্ষ পরিবারকে হুমকির মুখে ফেলেছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ যে একই ধাতুতে গড়া, বরং হাসিনা লজ্জাহীন বড় প্রতারক, সেটা আবারো প্রমাণিত হলো।
সরকার বলছে, লোকসানি প্রতিষ্ঠান, বন্ধ না করে উপায় নেই। বিগত ৪৮ বছরে নাকি ১০ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
এটা এক অদ্ভুত কথা যে, যে-সরকারের অর্থমন্ত্রী এই সেদিনও প্রকাশ্য প্রেসে বলেছে ৪ হাজার কোটি টাকা (যেটা একটি ব্যাংক মালিক বিদেশে পাচার করেছে) তেমন কোনো টাকাই নয়, যেদেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের থেকে ডিজিটাল জালিয়াতি করে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা চুরি হয়েছে যেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা হলো তারই সুযোগ্য পুত্রÑ সেদেশে সুদীর্ঘ ৪৮ বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার লোকসান (যদি আমরা তাকে যৌক্তিকও ধরে নেই) এদের কী এমন ক্ষতি করেছে? কিন্তু লক্ষ লক্ষ শ্রমিক ও দরিদ্র পরিবার এতে পথে বসছে।
লোকসান নিয়ে বহু কথা বলা চলে। প্রথম কথা হলো পাকিস্তান আমলে স্থাপিত এই সমস্ত পাটকল লাভজনক ছিল। তাহলে রক্ত দিয়ে এই সাধের ‘বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করে কেন সরকারি পাটকল লোকসানি হবে? পাকিস্তান আমলে এত শোষণ আর প্রযুক্তিগত দুর্বলতা নিয়েও যেখানে ৭৮টি পাটকল লাভজনকভাবে চলছিল, সেখানে তার দ্বিগুণ সময়ে বাংলাদেশ আমলে সে সংখ্যা কমে ২৬টিতে নামলো কেন?
কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কথা বাদ দিলেও যদি আন্দোলনরত শ্রমিকদের কথাই তুলে ধরা হয়, তাহলে তারা দেখাচ্ছেন যে, মাত্র দুটো পদক্ষেপ নিলেই এই লোকসান বন্ধ করা যায় এক, পাটকেনার ক্ষেত্রে সময় পরিবর্তন; দুই, ৫০-দশকের পুরনো মেশিনপত্র বদলানো। মেশিন বদলাতে কত টাকা লাগে? কেন সেটা করা হচ্ছেনা? কেন পাকিস্তানের সবকিছু বর্জনের কথা বললেও ৭০ বছর আগের তাদের দেয়া মেশিনগুলো বদলানো সম্ভব নয়?
যদি বেসরকারি কলগুলো লাভজনক হতে পারে, তাহলে এগুলো কেন লোকসানি? এটা বের করতে তো খুব বড় গবেষণার প্রয়োজন নেই, একটি সাধারণ তদন্তকমিটিই সেটা করতে পারে। সরকার বলছে, শ্রমিকদের সমস্যা হবেনা। তাদের পাওনা টাকা দেয়া ছাড়াও পিপিপি-তে পাটকল চালু থাকবে, স্থায়ী শ্রমিকরা সেখানে দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করতে পারবেন।
ভাল প্রমোশন! স্থায়ী শ্রমিক থেকে দিন-মজুর। কেন শ্রমিকরা এটা মানবেন? আর অস্থায়ীদের কী হবে?
আরো কথা আছে। সরকার বলছে, শ্রমিকদের সমস্যা নেই। তাদেরকে শ্রম-আইন অনুযায়ী যা যা পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হবে। তারা লক্ষ লক্ষ টাকা পাবেন। কিন্তু কথা হলো, এসব টাকা বন্টনে যে দুর্নীতি হয় সেটা বাদেও বলা যায় যে, এই টাকা দিয়েই কেন পাটকলগুলোকে আধুনিকায়ন করা হবেনা? দ্বিতীয়ত, কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে শ্রমিকরা কী করবেন? বিশেষত এই করোনাকালে, যখন কিনা সাধারণ চা-দোকানদাররা পর্যন্ত বেকার হয়ে যাচ্ছেন? কিছু করার ক্ষেত্রে মানুষকে বেকার বানানো সমাধান, নাকি যা আছে তার সাথে আরো বহু বহু শ্রম-সুযোগ সৃষ্টি করাটা সমাধান?
এসবের আসল কারণ নিহিত অন্য জায়গায়। সরকার বলেছে, করোনার সাথে এই সিদ্ধান্ত জড়িত নয়। তাদের এই কথা থেকে দুটো বিষয় বেরিয়ে আসে। প্রথমত, সরকার মিথ্যা বলছে, তারা করোনাকালের সংকটটির সুযোগ নিচ্ছে তাদের দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা কার্যকর করতে। বর্তমানে ‘সমাজিক দূরত্বের’ নামে সভা-সমাবেশ বন্ধ, যেকোনো অজুহাতে সেসবকে বেআইনি ঘোষণা করে আইনি পদক্ষেপ নেয়া যায়। ধর্মঘট, হরতাল, রাস্তা অবরোধ করা কঠিন। সুতরাং তারা এ সময়টাকে নিশ্চিতভাবেই গ্রহণ করেছে, যখন দরকারে সেনাবাহিনী দিয়ে এসব ‘শ্রমিক-অসন্তোষ’ বন্ধ করা যাবে, সেনাবাহিনী মাঠেই আছে। দ্বিতীয়ত, সরকার একটি সত্য কথাও বলেছে, তাদের এ পরিকল্পনা আগেই ছিল। দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা।
ঠিক, সেটাই আসল জায়গা। সরকারি বহু প্রতিষ্ঠান ও খাতকে ধীরে ধীরে বেসরকারি দেয়ার ক্ষেত্রে বহু পূর্ব থেকে বিশ্বব্যাংকের চাপ রয়েছে, যা মুজিব আমল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বিগত সমস্ত আমলে হয়েছে।
এগুলো করা হয়, প্রথমত, সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থে। দ্বিতীয়ত, তাদেরই দালাল দেশীয় আমলা-মুৎসুদ্দিদের স্বার্থে। পাটকলের ক্ষেত্রে বড় স্বার্থ রয়েছে ভারতের। তারা পশ্চিম বঙ্গে পাটকল তৈরি করেছে এবং বাংলাদেশ থেকে ভাল পাট নিচ্ছে। বিশ্বে হু হু করে প্লাস্টিকের বদলে জৈব আঁশের গুরুত্ব বেড়ে চলেছে। সুতরাং বাংলাদেশে পাটশিল্পকে ধ্বংস করে ভারতের শিল্পকে সেবা করা এবং এই সরকারি পাটকলগুলোর বিপুল সম্পদ, বিশেষত বিশাল মূল্যবান জমিকে দখল করে দালাল বড় বুর্জোয়াদের হাতে তুলে দেয়ার লক্ষ থেকেই ভারতের দালাল হাসিনা এটা বলেছে। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেই ফেলেছেন বাংলাদেশের মত বন্ধু আর ভারতের কেউ নেই। যখন কিনা উপমহাদেশে প্রত্যেকটি প্রতিবেশী দেশকে ভারত শত্রু বানিয়ে ফেলেছে।
শ্রমিকরা আন্দোলনে গিয়েছেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই আওয়ামী শ্রমিক নেতারা সরকারি চক্রান্তে সামিল হয়েছে। তারা নিজেদের চরিত্র খোলাসা করে আন্দোলনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। কিন্তু শ্রমিকদের ্আন্দোলন চালিয়েই যেতে হবে। একইসাথে তাদের আসল কর্তব্য হলো, এই সরকারি সিদ্ধান্তের নিচে নিহিত তাদের মূল কর্মসূচি ও চরিত্রটাকে চিনে নেয়া এবং তাদের এই ব্যবস্থাকে সমূলে উচ্ছেদের জন্য সংগঠিত হওয়া।

বাজেট

বাংলাদেশে প্রতিবছর জুন মাসে বাজেট দেয়া হয়। সংসদ থাকলে সেখানে তা নিয়ে বিতর্ক হয়। (হাসিনা-মার্কা সংসদে শুধু তার ও তার বাবার গুণগান করা হয়)। তারপর সেটা কিছু মাইনর অদল-বদল করে পাশ হয়ে যায়। সংসদ না থাকলে ক্ষমতাসীনরা টিভিতে বাজেট ঘোষণা করে।
এই বাজেট হলো সরকার/শাসকশ্রেণি/রাষ্ট্রের বাৎসরিক আয়/ব্যয়ের হিসেব। এটা জনগণের কোনো বিষয় নয়। তবে তাদের শত্রু শাসকশ্রেণির বাজেট তাদের জীবনকেও জড়িত করে বলে তাদের কিছু যায়-আসে। তাদের বিষয়টা হলো এই যে, কোন জিনিষটার দাম বাড়বে, বা কমবে (যদি কমে, আমাদের দেশে সেটা কমই ঘটে) তার একটা আগাম তথ্য জানা। কোথায় ট্যাক্স বাড়ানো হবে সেটা জানা। সেটাও সারা বছরের জন্য হয়না। মাঝপথে বাজেট ছাড়াই সরকার বহু কিছুর দাম বাড়িয়ে দেয়, ট্যাক্স বাড়িয়ে দেয়। ইত্যাদি।
বাজেট পেশের আগে বা পেশ হলে পর বিভিন্ন বুর্জোয়া গোষ্ঠী, যেমন, তাদের অর্থনীতিবিদ, মিডিয়া, ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, এনজিওগুলো বিবিধ মতামত পেশ করে। সেগুলো তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। পেশ করা বাজেটটাকে কিছু অদল-বদল করা, জনগণের কথা বলে কিছু সংস্কার করা, এই গোষ্ঠী বা ঐ গোষ্ঠীর স্বার্থ বেশি দেখার সুপারিশÑ ইত্যাদি। বাজেটে পেশকৃত মূলগত দার্শনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও নীতির কোনো উন্মোচন ও উদঘাটন সাধারণত হয়না। তবে কারও কারও প্রস্তাবে কিছু গণমুখী প্রস্তাব থাকে, পরামর্শ থাকে, এমনকি দুয়েকটা গুণগত ধরনের পরামর্শও থাকে। যেমন, প্রতিবারের মত এবারও ড.বারাকাতের মত বামপন্থী (তবে রাজনৈতিকভাবে মেননের শিষ্য) কিছু মৌলিক গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব রেখেছেন, যা এই ব্যবস্থায় গৃহীত হবার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এসব কারণে প্রতিবছর বাজেট হলেই বুর্জোয়া বিশ্লেষকদের মত করে সে বিষয়ে আমাদের ‘পরামর্শ’ দেবার জন্য আন্দোলিত হবার কোনো প্রয়োজন নেই। এই ধারাটি নবীন কর্মীদেরকে সহজেই সংস্কারবাদের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
তবে বাজেট সম্পর্কে যেহেতু বুর্জোয়া মহলগুলো মতামত প্রকাশ করে, তাদের অভ্যন্তরীণ অনেক তথ্যাবলি প্রকাশিত হয়, বিভিন্ন মহলের মতামত উঠে আসে, তাই সে ব্যাপারে নিস্পৃহ থাকাও যায়না। বাজেটের এইসব আলোচনার মধ্য দিয়ে ব্যবস্থার উন্মোচনটাই হওয়া উচিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কীভাবে বাজেটগুলো এই গণবিরোধী সিস্টেমকেই সেবা করছে এবং তার বদলে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে কীভাবে মূলগত জায়গাগুলোতে দাঁড় করাতে হবে সে বিষয়ে আমাদের আলোচনাকে কেন্দ্রীভূত করতে হবে।
আর তারই অংশ হিসেবে আংশিক ধরনের দাবিকেও তুলে ধরা যায়, তার ভিত্তিতে জন-আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য। জন-আন্দোলনের চাপ শাসকশ্রেণিকে কিছু কিছু ছাড় দিতে অনেক সময় বাধ্য করে যা জনগণের আশু কিছু উপকার করে।
যেমন, এবার করোনা’র ভয়াবহ আক্রমণ সত্ত্বেও বাজেটে তার তেমন কোনো প্রকাশ নেই। অর্থমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ/অনুমোদনে যা যা প্রস্তাব করেছে সেসবের বিস্তারিত না গিয়ে কয়েকটি বিষয়কে শুধু উল্লেখ করা যায়। যেমন
প্রবৃদ্ধি এবারও ৮%-এর বেশি রাখা হয়েছে। যা সব ধরনের হাসিনা-মার্কা পরিসংখ্যানগত জালিয়াতি সত্ত্বেও একটা বাস্তববিচ্ছিন্ন প্রস্তাব। এমনকি বুর্জোয়া প্রায় সব মহলই একে বিরোধিতা করেছেন। এই মূর্খতা কেন তারা করেছে? কারণ, এটাই একমাত্র পথ যা দেখিয়ে তারা ক্ষমতায় রয়েছে। উন্নয়ন, উন্নয়নের গণতন্ত্র!
স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে প্রায় সবাই বলছে (শুধু তথ্যমন্ত্রী ও সেতুমন্ত্রী বাদে)। কিন্তু তার পুনর্গঠনের কোনো রূপরেখাই নেই। সেটা অবশ্য এই ব্যবস্থায় হতেও পারেনা। কিন্তু কিছু কিছু পদক্ষেপ এই ব্যবস্থাতেও অনেক দেশই নিচ্ছেÑ যদিও তারাও দুর্নীতিগ্রস্থ ও বুর্জোয়া শাসিত। সেটা পর্যন্ত এ সরকার বাজেটে আনেনি। এমনকি জিডিপি’র সাথে তুলনায় মাত্র ০.৪% বাজেট বৃদ্ধি করোনা মোকাবেলায় একটা তামাশা ছাড়া কিছু নয়।
অথচ বিপরীতে প্রতিরক্ষা বাজেট দেখুন। যার উদ্দেশ্য শুধু সামরিক আমলাদের পকেট ভারি ও বিলাস বাড়ানো, সেটা গত বছরের থেকেও বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশের মত দেশে বড় স্থায়ী বাহিনী পোষার কোনো প্রয়োজনই নেই। বিদেশে গিয়ে সাম্রাজ্যবাদী ভৃত্য হিসেবে কাজ করে কিছু অর্থ আয় করা ব্যতীত এর কোনো কাজই নেই। অথচ তার রয়েছে বহু হেলিকপ্টার, বহু অস্ত্র। এমনকি করোনার মধ্যেও এক বিরাট যুদ্ধ জাহাজ হাসিনা উদ্বোধন করেছে। এসবের উদ্দেশ্য হলো সেনাবাহিনীকে তার মোসাহেব করে রাখা, তারা যেন ক্ষমতা দখল করে না নেয়, যে ধরনের ঘটনায় তার বাবার মৃত্যু হয়েছিল সেনাবাহিনীর ক্ষোভের মুখে।
কৃষি-ভিত্তিক অর্থনীতিকে ভিত্তি না করে গার্মেন্ট ও রেমিটেন্স নির্ভর অর্থনীতিকেই তারা চালাবে, আর দেশকে সর্বতোভাবে বিদেশ-নির্ভর করে রাখবে বাজেট বলছে।
ঘাটতি বাজেট পুরণের জন্য এদের পক্ষে সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, আইডিবি, ব্রিকস ইত্যাদির উপর নির্ভর করাটাই তাদের অর্থনীতির অন্যতম মূল মানদন্ড। অর্থমন্ত্রী বলেছে আমরা খরচ করবো, আয় পরে দেখা যাবে। অর্থাৎ সাম্রাজ্যবাদী প্রভুরা দেবে।
উপরোক্ত ‘সাদা টাকা’গুলো আইনি পথে আত্মসাতের পাশাপাশি যারা ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, নদীখেকো, বন ধ্বংস, বড় প্রকল্পগুলোর কমিশন নেয়া প্রভৃতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছে, এবং লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষভাবে এবারের সংকটের মুখে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা, হাজার হাজার কোটি টাকার বিদেশ-নির্ভর বৃহৎ প্রকল্পগুলো বন্ধ না করে অব্যাহত রাখা, এবং লক্ষ লক্ষ কোটি কালো টাকার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে এবার নিয়ে ১৬ বার মাত্র ১০% কর দিয়ে তা বৈধ করার সুযোগদান ইত্যাদির বিপুল সমালোচনা হলেও ‘বঙ্গবন্ধু’ কন্যা ও সুযোগ্য উত্তরসুরী সেগুলোতে হাত দেয়নি। একেবারে চরম গণবিরোধী ও দেশদ্রোহী না হলে কোনো বুর্জোয়া সরকারকেও এরকম সংকটকালে এমনটি করতে দেখা যাচ্ছে না। শুধু ট্রাম্পই হাসিনার তুলনা!
এদেরকে উন্মোচন করুন, বর্জন করুন, উচ্ছেদের সংগ্রাম গড়ে তুলুন এবং একটি নয়া অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য সংগ্রাম করুন।

কেন্দ্রীয় কমিটি পিবিএসপি