May 22, 2025
1 min read

শহীদ কমরেড রাকেশ কামাল(ডাঃমিজানুর রহমান টুটু)– লাল সালাম!

মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদ -জিন্দাবাদ!

আজ কমরেড রাকেশ কামালের ১০ম শহীদ দিবস। ২০০৮ সালের এই দিনে রাষ্ট্রের পোষা খুনি বাহিনী র্যাব কর্তৃক ক্রস্ফায়ারের নাটকের নামে তাকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডই প্রমাণ করে যে রাষ্ট্র শক্তি রাকেশ কামালদের কতটা ভয় পেত।তারা মাওবাদী বিপ্লবী কমরেড রাকেশ কামালকে হত্যা করে ভেবেছিল দেশ থেকে মাওবাদীদের উৎখাত করবে। কিন্তু বলা দরকার বিপ্লবী আদর্শের মৃত্যু নেই।তেমনি রাকেশ কামালরা ইতিহাসে ভিন্ন নামে বারবার ফিরে আসে।

রাকেশ কামাল বুর্জোয়া শিক্ষাব্যবস্থায় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন।তিনি এসএসসি ও ইন্টারে বোর্ড স্ট্যান্ড করে পাস করেন।এরপর ভর্তি হন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে।এই সময়েই তিনি বিপ্লবী রাজনীতির সাথে জড়িত হন।খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল)-এর নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে উঠে আসেন।তিনি তার তাত্ত্বিক ভিত্তিকে শক্তিশালী রূপে গড়ে তোলেন বাস্তব অনুশীলনের মাধ্যমে।

আত্মপ্রতিষ্ঠার সকল সুযোগকে ত্যাগ করে আজীবন বিপ্লবী থাকা কমরেড টুটু জীবন যাপন করতেন খুবই সহজ সরলভাবে।শুধু বাবা মার অনুরোধ রাখতে মাত্র এক বছর চাকরী করেছিলেন।অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি কর্মী ও জনগনের খুব কাছাকাছি আসতে পেরেছিলেন।তিনি খুব সহজেই গ্রামের কৃ্ষক জনতার সাথে মিশতে পারতেন।

মাওবাদী কমিউনিষ্ট বিপ্লবী রাকেশ কামাল বাংলাদেশের মাওবাদী আন্দোলনকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।তিনি মৃত্যুর কিছুদিন আগে পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল)[লাল পতাকা] অতীত লাইনের মৌলিক সারসংকলন করেন।যা বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট আন্দোলনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।তিনি আজীবন মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদের পতাকাকে উর্দ্ধে তুলে ধরেছেন।

কমরেড রাকেশ কামালের বিপ্লবী জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

Atif Anik